প্রায় সাত বছর আগে এই পার্কে রঙিন মাছ ছাড়া হলেও এ বছরই প্রথম ওই মাছ থেকে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় ডিম ফুটে পোনা বের হয়।
এতে সহযোগিতা করেন শ্রীপুর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আশরাফুল্লাহ।
২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে এসব মাছ আনা হয় বলে জানালেও এত দিন কেন পোনা হয়নি সে বিষয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষ কিছু বলেনি।
মৎস কর্মকর্তা আশরাফুল্লাহ বলেন, প্রতিটি মাছ দুই হাজার থেকে তিন হাজার ডিম পাড়ে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে এদের প্রজনন মৌসুম। খাওয়ার চেয়ে অ্যাকুরিয়ামে পালনের জন্য এ মাছের চাহিদা বেশি। বাংলাদেশে অনেকে অ্যাকুরিয়ামে এই রঙিন মাছ পালন করে। পার্ক কর্তৃপক্ষ বাণিজ্যিকভাবে এ পোনা উৎপাদন করে সরবরাহ করতে পারে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে তিন-চার কেজি ওজনের মাছও রয়েছে। একেকেটি মাছের ওজন পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়। পার্কের মুক্ত পানিতে তারা স্বাধীনভাবে ছুটে বেড়ায়। কোথাও কোনো খবারের সন্ধান পেলে খাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করে। দলে দলে সেখানে ভেসে ওঠে। ছুটোছুটি করে ভিড় জমায়। পর্যটকদের কাছে এটাই এই রঙিন মাছের বিশেষ আকর্ষণ। তবে এবারই প্রথম এখানে এই মাছের ডিম ফুটল।