জামালপুরে মালয়েশিয়াফেরত ব্যক্তি কোয়ারেনটাইনে

দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটার প্রেক্ষাপটে জ্বর ও কাশি নিয়ে মলয়েশিয়া থেকে আসা এক ব্যক্তিকে তার জামালপুরের বাড়িতে কোয়ারেনটাইনে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

জামালপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2020, 04:51 PM
Updated : 10 March 2020, 01:12 PM

তবে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। 

জামালপুরের সিভিল সার্জন গৌতম রায় বলেন, ৪৫ বছর বয়সের ওই ব্যক্তি রোববার মালয়েশিয়া থেকে বিমানে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন বেলা ১১টায়। রোববারই তিনি ঢাকা থেকে সরাসরি জামালপুরে গ্রামের বাড়ি চলে যান।

“বাড়ি যাওয়ার পর সোমবার সকালে শরীরে জ্বর ও কাশির উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর জ্বর ও কাশির চিকিৎসা নিতে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে যান।”

ডাক্তার গৌতম বলেন, জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন এবং বিদেশ ফেরৎ হিসেবে বাড়িতে পরিবারের কোনো সদস্যের সংস্পর্শ ছাড়া অন্তত দুই সপ্তাহ আলাদা ঘরে থাকার পরামর্শ দেন।

“তার শরীরে সামান্য জ্বর এবং কিছুক্ষণ পরপর কাশি হলেও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার মতো কোনো উপসর্গ তার দেহে পাওয়া যায়নি। তারপরও প্রতিদিন একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী তার পর্যবেক্ষণে থাকবেন।”

সিভিল সার্জন জানান, মালয়েশিয়া থেকে আসা এই ব্যক্তির সম্পর্কে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।  

জেলায় এখনও কোনো ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা যায়নি বলে তিনি জানান।

সিভিল সার্জন গৌতম রায় জানান, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জামালপুর জেলায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এবং জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হককে সভাপতি ও সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।

“রোববার দুপুরে কমিটির প্রথম বৈঠকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ প্রকল্প এলাকায় নির্মিত একটি ছাত্রীনিবাসের ভবনে ১০০ শয্যার কোয়ারেনটাইন ভবন খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

ইতালিতে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, সেখানে এক বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরে কভিড-১৯ রোগীর মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি।

তিন মাস আগে চীনে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটার পর ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষা শুরু করা হয়। সন্দেহজনক কোনো রোগী পেলেই পাঠানো হচ্ছিল হাসপাতালে।

রোববার বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী ধরা পড়ার কথা জানায় সরকারের রোগ পরীক্ষা, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। যে তিনজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে তাদের দুজনই ইতালি থেকে এসেছেন। অন্যজন তাদেরই একজনের স্বজন।