ইবি ছাত্রকে মারধর, রাবি ছাত্রদের কান ধরালেন ছাত্রলীগ নেতা

বেড়াতে আসা কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারধর করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজনকে ছাত্র কান ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন ছাত্রলীগ নেতা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2020, 01:48 PM
Updated : 6 March 2020, 01:48 PM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মনিরুল ইসলাম মনি, দর্শন বিভাগের তৃতীয়বর্ষের মেহেদী হাসান পারভেজ, ইমরান হোসেন, ওই বিভাগের চতুর্থবর্ষের ঝলক সরকার ও আতিকুর মারধর করে বলে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারুক হোসেনের অভিযোগ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে এ মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে মনির বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী।

তবে দলের কর্মীদের এই মারধরের খবর পেয়ে পরে ওই হলের গেস্টরুমে অভিযুক্ত কয়েকজনকে কান ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন এ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া।

গোলাম কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযুক্তরা বিষয়টি স্বীকার করে মোবাইল ফেরত দিয়েছে।

“তারা কানে ধরে সবার কাছে মাফ চেয়ে বলেছে-জীবনে এ ধরনের কাজ তারা আর করবে না।”

তবে কান ধরানোর সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ইবি ছাত্র ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি তার বান্ধবীকে রাবির মন্নুজান হলে পৌছে দিয়ে ফিরছিলেন। এমন সময় ক্যাম্পাসে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে। প্রথমে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় তারা। চড়-থাপ্পড় মারে। এরপর হবিবুর রহমান হলের একটি কক্ষে নিয়ে তাকে ফের চড়-থাপ্পড়সহ কাঠের খণ্ড দিয়ে আঘাত করে তারা।

ফারুক বলেন, “কোনোদিন যেন ওই বান্ধবীর সঙ্গে দেখতে না পায়, এ হুমকি দিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়।“

সেদিন রাত সাড়ে ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক আরাফাত রহমানকে ঘটনা জানান তিনি। তার মাধ্যমে খবর পান ছাত্রলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া।

আরাফাত জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হবিবুর রহমান হলের গেস্টরুমে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ডাকেন। অভিযুক্তরা ঘটনাটি স্বীকার করে ফোন ফেরত দেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে ঘটনাটি এবং  ওই ছেলের মোবাইল ফোন ফেরত দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

“এখন যদি কোনো লিখিত অভিযোগ পাই, তবে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”