ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’, অবশেষে রাবি স্কুলের সেই শিক্ষক বরখাস্ত

ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2020, 12:00 PM
Updated : 5 March 2020, 12:00 PM

কর্তৃপক্ষ অভিযোগ উঠা

ওই ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় গত বছরের ২০ অক্টোবর কারাগারে গেলেও কর্তৃপক্ষ ওই আদেশ দেয় বুধবার।

বৃহস্পতিবার বিকালে এ স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক আবুল হাসান চৌধুরী বরখাস্তের কথা জানিয়েছেন।

সাময়িক বরখাস্ত দুরুল হুদা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক।

স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাক্ষরিত বরখাস্তের ওই আদেশে বলা হয়েছে, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মো. দুরুল হুদা ফৌজদারি অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ায় তাকে গত বছরের ২০ অক্টোবর থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত ভাতা পাবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরের ভিত্তিতে করা রিটের রায়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়; আদেশে তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীটির স্কুলে আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও জন্যও নির্দেশ দেয়।

অভিযোগটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতেও বলে আদালত।

মামলায় অভিযোগে দেওয়া ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে-গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রীর বাসায় পড়াতে আসেন দুরুল হুদা। পড়া শেষে বাড়ি দেখার নাম করে ছাত্রীকে স্টোররুমে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন তিনি। এ সময় ছাত্রীর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে পালিয়ে যান তিনি।

এ ঘটনায় দুরুলকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রায় দুই মাস গত ১৫ ডিসেম্বর জামিনে ছাড়া পান।

গত ২৬ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

জামিনের পর ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসা-যাওয়া করায় ভুক্তভোগী মেয়েটি দুই মাস ধরে বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না বলে অভিযোগ করে আসছে তার অভিভাবক।

তবে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুরুল হুদা এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ওই ছাত্রীর বাবা-মা তাদের বড় মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তাতে সাড়া না দেওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।