বুধবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল হক এ রায়ে মামলার অন্য দুজন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়চাপড়া গ্রামের বাবুর আলীর হত্যাকাণ্ডের মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আনছার আলীর ছেলে ইখতিয়ার আলী (২৭), বিল্লাল হোসেনের ছেলে জুয়েল হোসেন ওরফে কুসুম ও শাবান আলীর মেয়ে মহিমা খাতুন ওরফে ফুট্টরি ওরফে লাবনী। সবাই ওই গ্রামের বাসিন্দা।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন কামাল হোসেন ও রশিদুল হক।
২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় গড়চাপড়া গ্রামের বাবুর আলী ওরফে বাবু নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে গ্রামের একটি ছাপড়া ঘরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো বাবুর লাশ পাওয়া যায়।
মামলা ও রায়কে উদ্ধৃত করে চুয়াডাঙ্গার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বেলাল হোসেন জানান, বাকপ্রতিবন্ধী রাজিবের স্ত্রী মহিমা খাতুনের সঙ্গে নিহত বাবুর এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি ইখতিয়ার দুইজনের সঙ্গেই ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।’ এক পর্যায়ে মহিমাকে দিয়ে বাবুরকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনান ইখতিয়ার। সেখানে ইখতিয়ার ও জুয়েল বাবুরকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর ২০ এপ্রিল নিহতের স্ত্রী মমতাজ খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই সাইফুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে পাঁচজনকে আসামি করেন তিনি।
এ মামলায় আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্য নেয়। এছাড়া আসামি জুয়েল হোসেন কুসুম ও মাহিমা খাতুন লাবনী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে বলে জানান তিনি।