বুধবার দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে এ সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, যতদিন বাংলা থাকবে, বাঙালি থাকবে, ততোদিন নজরুল আমাদের হৃদয়ে থাকবে।
দীপু মনি বলেন, বাংলা সাহিত্যে নজরুলের প্রভাব অনেক। বাংলা সাহিত্যের এমন কোন দিক নেই, যেখানে নজরুল তার কৃতেত্বের ছাপ রেখে যাননি।
“আমাদের মুক্তযুদ্ধেও নজরুলের অনেক ভূমিকা ছিল। তার রচিত গানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রাণিত হয়েছি।”
চাঁদপুরের সাথে নজরুলের নিবিড় সম্পর্ক থাকার কথা তুলে তিনি বলেন, চাঁদপুরে নজরুলের অনেক স্মৃতি রয়েছে। চাঁদপুরের আরেক কৃতী সন্তান ‘সওগাদ’ সম্পাদক নাছির উদ্দিন তার সখ্য ছিলেন।
“নজরুলের স্মৃতি ধরে রাখতে অচিরেই এখানে একটি স্মৃতিফলক তৈরি করা হবে।”
এ অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।
বক্তব্য দেন, শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রাজ্জাক ভূঞা, ইসস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক সচিব মো. আব্দুর রহিম।
এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এএসএম দেলওয়ার হোসেন, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক কাজী শাহাদাত, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এরআগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের কালীবাড়ি শপথ চত্বর ঘুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এসে শেষ হয়।
আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এ সম্মেলনে কাজী নজরুলের উপর আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংগীত প্রশিক্ষণ, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।