৪৮ বছর বয়সী রাইচরণ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ভৈরবনগর গ্রামের বিশ্বনাথ বিশ্বাসের ছেলে। মুকসুদপুর উপজেলায় ক্ষুদ্রঋণ সংগঠন আশায় মাঠকর্মী পদে কাজ করতেন তিনি।
রাইচরণ ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর কিস্তি আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরের বছর ১২ জানুয়ারি তার শাশুড়ি শেফালী সরকার বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
সেন্টু জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ডাঙ্গা দুর্গাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন শেখের ছেলে।
সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যে এসআই রবিউল বলেন, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাইচরণ কিস্তির টাকা আদায় করতে গেলে সেন্টুর সঙ্গে তার বিরোধ বাধে। সেন্টু তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর বাড়ির পাশে কলাবাগানে লাশ পুঁতে রাখেন।
সেন্টুর স্বীকারোক্তি মোতাবেক গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম অমিত কুমার বিশ্বাস রোববার লাশ তোলার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার বিকালে গোপালগেঞ্জর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ ও সিআইডি কর্মকর্তাদের উপস্থিতে লাশ তোলা হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারে হস্তান্তর করা হয়।
এসআই রবিউল বলেন, “রাইচরণের মোবাইল ফোন নম্বর শনাক্ত করে জানতে পারি সেটা সেন্টুর স্ত্রীর বড় বোন ব্যবহার করছেন। সেই সূত্র ধরে সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
“কিস্তির ১৫০ টাকা আদায় নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রাইচরণকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন সেন্টু। পরে বাড়ির পাশের কলাবাগানে লাশ পুঁতে রাখেন। হত্যার পর রাইচরণের কাছ থেকে সেন্টু এনজিওর ৩৫ হাজার টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি ট্যাব ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।”
এ মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।