দুর্নীতির দায়ে জামালপুরে রাজস্ব কর্মকর্তার কারাদণ্ড

দুর্নীতির মামলায় জামালপুরের এক রাজস্ব কর্মকর্তার ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। একই মামলায় আরেক আসামির তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডও হয়।

জামালপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2020, 04:30 PM
Updated : 3 March 2020, 04:30 PM

মঙ্গলবার জামালপুরের বিশেষ জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং আমদানিকারক মো. ইমারুল হক।

রায় ঘোষণার পর মো. ইমারুল হককে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দণ্ডিত মো. রফিকুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। রফিকুল ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মুখী গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে।  

দুদকের আইনজীবী লুৎফর রহমান রতন জানান, ২০০৩ সালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর হয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেরপুর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ইমারুল হক ভারত থেকে এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা ও ৪০০ মেট্রিক টন পাথর আমদানি করেন।

তিনি জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা শেরপুর জেলা সদরের নওহাটা ব্যবহার করলেও মো. ইমারুল হকের বাড়ি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার চন্ডিপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আফাজ উদ্দিন।

“ওই সময় স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম আমদানিকারক মো. ইমারুল হকের সঙ্গে যোগসাজস করে হিসাবসংরক্ষণ না করে আমদানি শুল্ক ও রাজস্ব করের ১০ লাখ ২২ হাজার ৪৫৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।” 

তিনি আরও জানান, রায়ে প্রধান আসামি আমদানিকারক মো. ইমারুল হককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

দ্বিতীয় আসামি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে পৃথক দুটি ধারায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা করা হয়, যা অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে তিনি জানান।  

আইনজীবী লুৎফর রহমান রতন জানান, জামালপুরের ওই সময়ের জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিদর্শক মেনহাজ আলী খান বাদী হয়ে ২০০৩ সালের ৬ অগাস্ট আমদানিকারক মো. ইমরারুল হক ও স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সাত বছর পর ২০১০ সালের ১৫ জুন দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।