নিহত শামসুন্নাহার বেগম (২২) জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার চরভদ্রাসন গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে। সে পোশাক শ্রমিক জলিল হোসেনের স্ত্রী।তারা আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় ইটখোলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
রোববার মধ্যরাতে জলিল থানায় গিয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানানোর পর বাসা থেকে শামসুন্নাহারের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে আশুলিয়া থানার এসআই মিরাজুল ইসলাম জানান।
আটক ৩০ বছর বয়সী জলিল জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার বাঘাডোবা গ্রামের শাহজাহান হোসেনের ছেলে।
নিহতের চাচা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, চারদিন আগে তার ভাতিজির সঙ্গে ও জলিলের পারিবারিক কলহ হয়। রোববার গভীর রাতে জলিল তার শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে শামসুন্নাহারের মৃত্যুর খবর জানায়।
“পরে জলিল আশুলিয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে।”
এসআই মিরাজুল বলেন, “পারিবারিক কলহের জেরে জলিল তার স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।”
শামসুন্নাহারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছ বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।