রোববার দুপুরে দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি ইউনিয়নের বড়াদম খামার পাড়ার বাড়ি থেকে মেয়েটির (১৯) লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের তিন ছাত্রকে পুলিশ আটক করেছে।
এ ঘটনায় দীঘিনালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মেয়েটির ভাই।
দীঘিনালা থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানিয়েছেন, দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের এই ছাত্রী শনিবার দুপুরে কলেজ থেকে বাড়িতে ফেরার পথে কলেজের একই ক্লাসের ছাত্র অনিল চাকমা (১৯) তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। মেয়েটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ৩/৪ জন যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করে। এক পর্যায় শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করে।
মেয়েটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, তার মেয়ে শনিবার বিকালে হাসিমুখেই কথা বলেছেন; রাতে খাবারও খেয়েছেন।
মেয়েটির বড়ো ভাই বলেন, তার আরেক বোন ভোরে উঠে দরজা খোলা দেখেন। পরে ঘরের বাইরে এসে তার বোনকে নিজের ওড়নায় গাছের সাথে ঝুলে থাকতে দেখেন।
ওসি উত্তম জানান, নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে আটক তিন ছাত্রকে আসামি দেখানো হয়েছে।
পুলিশ তাদের আটক করেছে; জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আটকরা হলেন জোড়াব্রিজ এলাকার পুলিন বিহারী চাকমার ছেলে অনিল চাকমা, শান্তিপুরের সুনীল চাকমার ছেলে জয়েশ চাকমা এবং জীবন কুমার চাকমার ছেলে সুমন্ত চাকমা।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।