শুক্রবার শহরের শিমুল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় করা মামলা বিবরণ দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সদর উপজেলার এক কিশোরী ১৫ দিন আগে সাতক্ষীরা শহরের শিমুল ক্লিনিকে নার্সের চাকরি নেন। সেখানে যোগদানের পর থেকেই ডা. রিয়াজুল তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
গত বৃহস্পতিবার ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে কিশোরীকে কৌশলে কোমলপানীয়র সাথে চেতনানাশক পান করান তিনি। অচেনতন অবস্থায় তাকে ক্লিনিকের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে রিয়াজুল বলে জানান তিনি।
ওসি জানান, এরপর তাকে একটি রুমে আটকে রাখে ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুন। রিয়াজুলের সাথে তাকে বিয়ে দেবে প্রলোভন দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর পরামর্শ দেন তারা।
কোন খোঁজ না পেয়ে ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা সদর থানায় বিষয়টি জানালে শুক্রবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে শিমুল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেছে।
রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েওসি মোস্তাফিজুর বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।