বৃহস্পতিবার আপিল শুনানি শেষে কমিশন এই ঘোষণা দেয়। এখন আগামী ২১ মার্চের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আমিরুল আলম মিলন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাছাইয়ের সময় বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায় ঝণখেলাপ ও পৌরকর বাকি থাকার অভিযোগে।
এই দুই প্রার্থী বুধবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। বৃহস্পতিবার তার শুনানি হয়।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, কমিশন দীর্ঘ শুনানি শেষে বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশ বহাল রেখেছে। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে।
বিএনপি প্রার্থী এখন উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।
বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বলেন, “নির্বাচন কমিশন শুনানি শেষে আমার মনোনয়পত্রটি অবৈধ বলে আদেশ দিয়েছে। আমি ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।”
২৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামী ১ মার্চ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ এবং ২১ মার্চ এই আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে। ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।