ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দিল্লিতে সংঘাতে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি নূরুল হক নূর। সোশাল মিডিয়ায়ও অনেকে মোদীকে আমন্ত্রণ না জানানোর আওয়াজ তুলেছে।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পেয়ে তার কাছে মোদীকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে জানতে চান স্থানীয় সাংবাদিকরা।
জবাবে সরাসরি উত্তর এগিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা একটি রাজনৈতিক নির্দেশনা নিয়ে চলি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দিয়েছেন, আমরা সেখানটাতেই আছি।”
এদিন গাজীপুরে আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ আনসার (পুরুষ) মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কুচকাওয়াজ ও নবসৃজিত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের ‘ফ্লাগরেইজিং’ অনুষ্ঠানে আনসার গার্ড ব্যাটেলিয়ন নতুন করে সৃজন করার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ভিআইপি প্রোটেকশন, আমাদের দেশের ভিআইপিরা সবাই যাতে নিরাপদে থাকে। এছাড়া বিদেশি যারা এদেশে আসেন, তারাও যেন নিরাপদে থাকে।
“এছাড়া কূটনীতিবিদ এবং কূটনৈতিক জোনসহ সবগুলো যেন প্রোটেকটেড থাকে সেজন্য এ ব্যাটালিয়ন সৃজন করা হয়েছে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (আনসান ও সীমান্ত) জন নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শায়েদ আলী, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম আসিফ ইকবাল,উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল কামাল মামুন, উপ-মহাপরিচালক ও কমান্ড্যান্ট (একাডেমি) নিমাই কুমার দাস ও উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) মাহবুব উল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে দেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
“এ সরকারের কর্ম তৎপরতায় অর্থনীতি, রাজনীতি, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনী সরকারের এ সাফল্যের বিরাট অংশের অংশীদার।“
বর্তমানে দেশের বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ ৪ হাজার ২১৪টি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় প্রায় ৫০ হাজার আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া নির্বাচন, ধর্মীয় উৎসবসহ বিভিন্ন আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।