আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, বাণিজ্যিক কাজে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করে থাকেন দুই পারের সিঅ্যান্ডএফ কর্মীরা।
“মঙ্গলবার হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ স্টাফদের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।“
শুল্কভবন কর্তৃপক্ষ সিএন্ডএফ কর্মীদের 'কাস্টম সরকার পারমিট' নামের একটিপরিচয়পত্র দিয়ে থাকে। যেটা দেখিয়ে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে যাতায়াত করেন কর্মীরা। তবে বিএসএফেএ পরিচয়পত্র দিয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
আলোচনা ছাড়া বিএসএফের এ সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলছেন বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল।
বেনাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট 'শান্তা এন্টার প্রাইজের' বর্ডারম্যান মহসিন আলী বলেন, আমরা এ পরিচয়পত্র নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে যেতে চাইলে বিএসএফ বাধা দেয়। পাসপোর্ট ছাড়া ঢুকতে দেবে না জানিয়েছেন তারা।
"বাংলাদেশ ও ভারতের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা স্টাফদের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র আদান প্রদান করে থাকেন। এ কাগজপত্র দিয়ে উভয় দেশে আইজিএম খোলা হয় তারপর পণ্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে যায়।
বুধবার বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে ওপারের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক হয়েছে, তবে তারা সমাধান দিতে পারেননি।
“তারা বিএসএফের সাথে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।”
বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, কী কারণে তারা কর্মীদের ভারতে ঢুকতে দিচ্ছে না তা এখনো জানা যায়নি।
তবে এটিকে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রর প্রেসিডেন্ট সফরে আসায় সীমান্ত জুড়ে কঠোর নজরদারীর অংশ বলে মনে করছেন বেনাপোল শুল্কভবনের কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা।
তবে এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।