জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি, ৫ কনস্টেবলের কারাদণ্ড

জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ায় নাটোরে পাঁচ পুলিশ কনস্টেবলকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2020, 05:13 PM
Updated : 25 Feb 2020, 05:13 PM

মঙ্গলবার নাটোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. খোরশেদ আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়, যা অনাদায়ে তাদের আরও তিনমাস কারাভোগ করতে হবে।

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) আব্দুর রশিদ বলেন, রায় ঘোষণার পর তাদেরকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার কাঁচুয়াগাড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আমীর আলী (২১), বাবলু মোল্লার ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২), লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জুবায়ের হোসেন পলাশ (২২), আব্দুস সামাদের ছেলে সাজেদুর রহমান (২২) ও গুরুদাসপুর উপজেলার হাঁসমারি গ্রামের মজিদ মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২১)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালে পুলিশ নিয়োগের সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কন্সটেবল পদে নিয়োগ লাভ করেন। এ সময় তারা বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং জাল সনদপত্র দাখিল করেন।

চাকরি হওয়ার ছয় মাস পর বিভাগীয় যাচাই-বাছাইয়ের সময় ওই মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল বলে প্রমাণিত হয়। তখন তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

২০১২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নাটোর পুলিশ লাইনসের এসআই মমিনুল হক বাদী হয়ে পাঁচ কনস্টেবল ও তাদের বাবাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সদর থানার পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক মামলাটি তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।