অব্যবস্থাপনায় ৩৩ কেভি লাইনে শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আশুলিয়ায় অবরোধ

কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে ঢাকার আশুলিয়ার এক ফুটওভার ব্রিজে এসএসসি পরীক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার প্রতিবাদে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করেছে তার সহপাঠীরা।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2020, 11:12 AM
Updated : 25 Feb 2020, 11:53 AM

মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পরে পুলিশের সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র কুমার মালাকার বলেন, সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত রোববার ওই এলাকায় নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পার হতে গিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ওই পরীক্ষার্থী।

এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী জোনায়েদ হোসেন ইমনকে (১৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আশুলিয়ার কবিরপুরের গফুর মিয়ার ছেলে ইমন স্থানীয় অঞ্জনা মডেল হাই স্কুলের এসএসসি পরিক্ষার্থী।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাড়ইপাড়া বাস স্ট্যান্ডে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করেছে। ব্রিজের পুব পাশের সিঁড়ির উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার টানা এবং পুবপাশে ছাউনিও নাই। পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে লাগানো বিদ্যুৎতের খুঁটি সারানো হয়নি।

মহাসড়কের ডিভাইডার দিয়ে পারাপার বন্ধ করায় বাধ্য হয়ে অনিরাপদ ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছে।

সেখানে ৩৩ কেবির তিনটি লাইন রয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মহাব্যবস্থাপক আজাহার আলী বলেন, ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগের দায়িত্ব ছিল সব কাজ শেষ করে ব্রিজটি উন্মুক্ত করা কিন্তু ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগ তাদের কাজ শেষ করে নাই।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, আমরা ব্রিজটির দুপাশের মুখ বন্ধ রেখেছিলাম, কোন কারণে হয়ত খোলা হয়েছিল।

“আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিতে সবসময়ই সতর্ক অবস্থানে থাকি। যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

শীঘ্রই আহতের স্বজনের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলেও জানান তিনি।