বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ওই আদালতের পিপি ভুবনচন্দ্র হাওলদার বলেন, মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করার মধ্য দিয়ে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
আগামী ১০ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর ৮ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩০ কার্যদিবসে এই ৭৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।
মামলাটিতে মোট ৭৭ জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তাদের মধ্যে গোলাম সরোয়ার নামে এক ব্যক্তি বিদেশে থাকায় আদালত তার সাক্ষ্য নিতে পারেনি। তার সাক্ষ আর নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পিপি ভুবনচন্দ্র।
সকালে সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে বরগুনার জেলা কারাগারে থাকা এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এছাড়া আদালতে হাজির হন উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে থাকা নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। আর মো. মুসা নামে এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
প্রাপ্তবয়স্ক অন্য আট আসামি হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।
গত বছর ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পহেলা সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং কিশোর ১৪ জন।
ওই বছর ২ জুলাই এ হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়। কিন্তু মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এরপর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।