গত শুক্রবার সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ায় সৌম্য সরকারের বাড়িতে এই আশীর্বাদ অনুষ্ঠিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে সৌম্য হরিণের চামড়ার তৈরি আসনের উপর কখনও বসে, কখনও দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
সৌম্যর বাবা সাবেক সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার বলেন, গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাদের বাড়িতে বরপক্ষের আশীর্বাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার খুলনার টুটপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয় কনের বাড়ির আশীর্বাদ।
“কেউ কেউ এ বিষয়টি নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বাড়াবাড়ি করছে।”
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ. এস. এম. জহির উদ্দিন আকন সাংবাদিকদের বলেন, “যে কেউ বন্যপ্রাণীর চামড়া ব্যবহার করে বিয়ে বা কোনো অনুষ্ঠান করতে পারেন না। এমনকি হরিণের চামড়া সংগ্রহে রাখাও অপরাধ। আমরা এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি।”
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ও পারমিটপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কোনো বন্যপ্রাণী শিকার কিংবা দেহের অংশ সংগ্রহ করতে পারবে না। এই আইনের লংঘন হলে এক বছরের সাজা অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে তিন বছরের সাজা অথবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “তারা জাতীয় দলের ক্রিকেটার, আমাদের দেশের সম্পদ। তাদের দেশের আইন মেনে চলা উচিত।”