সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত রাবির

বুয়েট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও সমন্বিতের বদলে নিজেদের মতো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2020, 01:49 PM
Updated : 24 Feb 2020, 01:49 PM

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান জানান।

বিকালে উপাচার্যের সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সন্ধ্যায় সভা থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকে উপাচার্য বলেন, “কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় যাওয়ার কথা ছিল আমাদের। তবে আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল তা নাকচ করে দিয়েছে। সভার শুরুতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ঢাকায় উপাচার্যদের নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তা পড়ে শোনানো হয়। পরে শিক্ষকদের মতামত নেওয়া হয়। তারা প্রায় সবায় চান, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না যেতে। অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস না হওয়ার একটা গৌরব রয়েছে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের একটি আশঙ্কা থেকে যায়। তাই কাউন্সিলের সকলের মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকার আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে উপাচার্য বলেন, অনেক শিক্ষক বলেছেন, প্রয়োজনে তারা ভর্তি পরীক্ষা বাবদ টাকা আরও কম নেবেন; প্রয়োজনে ফ্রি নেবেন, তবুও তারা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মতো সিদ্ধান্তে যেতে চাচ্ছেন না।

“এখানে টাকাটা ইমপোর্টেন্ট নয়, এখানে কোয়ালিটিটা ইমপর্টেন্ট,” বলেন অধ্যাপক সোবহান।

শিক্ষা পরিষদের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা যেভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকি তা শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরাপদ। তবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে আমাদের মতো এভাবে পরীক্ষা নিতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।”

সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এক রকম নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তবে যদি নিরাপদ ভর্তি পরীক্ষা কিংবা আমাদের চেয়ে ভালোভাবে পরীক্ষা নেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, তাহলে আমরা সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় যেতে পারি। তার আগে আমরা যেতে পারি না।”

গত ২৩ জানুয়ারি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক মতবিনিময় সভায় সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায়ও এ বছর থেকেই সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

পরে বুয়েট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি কাউন্সিলের সভা শেষে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না।