সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার আল্লার দর্গা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে রানা হোসেন এবং তার স্ত্রী বেলী খাতুন। আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি কৌশুলী আব্দুল হালিম জানান, বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় দীর্ঘ সাক্ষ্য-শুনানির পর আদালত এ রায় দেয়।
“ধর্ষণের দায়ে রানা হোসেন ও বেলী খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজা দিয়েছে আদালত।
২০১৮ সালের ১০ নভেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা এলাকায় ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে আটকে রেখে রানা হোসেন তিনদিন ধরে ধর্ষণ করে। তাকে সহযোগিতা করেন বেলী খাতুন বলে মামলায় অভিযোগ করে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ও ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।