রোববার জলঢাকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে বলে কেন্দ্র সচিব আতাউর রহমান জানান।
দায়িত্ব থেকে অভ্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন শৌলমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাধবীলতা রায় ও চাওড়া ডাংগি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনোরঞ্জন রায়।
খাতা খোয়া যাওয়া পরীক্ষার্থীর নাম পংকোজ রায়। সে উপজেলার কৈমারী স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী। দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে তার রোল নম্বর ২১১০৬৫।
কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা জানান, রোববার কেন্দ্রে মানবিক বিভাগের সাধারণ বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে অন্যান্য পরীক্ষার্থীর খাতা জমা হলে ওই কেন্দ্রের ১১ নম্বর কক্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ২১১০৬৫ নম্বরের পরীক্ষার্থী পংকোজ রায়ের খাতাটি পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্র সচিব আতাউর রহমান বলেন, “ওই কক্ষে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী ছিল। পরীক্ষা শেষে ৩৪টি খাতা জমা পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানিয়েছি।”
খাতা খোয়া যাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে এবং কক্ষ পরিদর্শক মাধবীলতা ও মনোরঞ্জন রায়কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী পংকোজ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরীক্ষা শেষে খাতা জমা দিয়েছেন বলে জানান।
উজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, “ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কেউ এর দায়ভার এড়াতে পারেন না।”