পানছড়ি থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, রোববার বিকালে সুকনাছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত তুষার চাকমা (৩৩) রাঙামাটির লংগদু উপজেলার কাট্টলী গ্রামের কিরণ চাকমার ছেলে।
ওসি দুলাল বলেন, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে শটগানসহ কিছু গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে এবং আহত অবস্থায় সুভাষ চাকমাকে আটক করেছে। পরে তাকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পানছড়ি থানায় সোপর্দ করেছেন।
সন্ধ্যায় পুলিশের বিশেষ তত্ত্বাবধানে গুলিবিদ্ধ এই ইউপিডিএফ সদস্যকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে ওসি জানান।
ওসি বলেন, ৪/৫ জনের একদল অস্ত্রধারী লোক নাশকতার উদ্দেশ্যে পানছড়ির সুকনাছড়ি এলাকায় জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোনের একদল সদস্য সুকনাছড়ি গ্রামে গেলে দুর্বৃত্তরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই সময় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে দুর্বৃত্তরা পিছু হটে যায়।
“পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুভাষ চাকমাকে আটক করে সেনাসদস্যরা। এ সময় একটি শটগান, ২৩ রাউন্ড শটগানের গুলি, ২৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্বার করা হয়।”
ওসি দুলাল হোসেন জানান, আটক যুবক ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্য। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, সুভাষ চাকমাকে নিজেদের সদস্য বলে দাবি করে দলটির খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ইউপিডিএফ সদস্যদের উপর গুলিবর্ষণ এবং সুভাষ চাকমাকে আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।