বান্দরবানে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আ. লীগের বিক্ষোভ

বান্দরবানে গুলিতে যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2020, 02:23 PM
Updated : 23 Feb 2020, 02:25 PM

একই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

রোববার সকালে জেলা শহরে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হয়।

শনিবার সদর উপজেলা জামছড়িমুখ এলাকায় একটি দোকানে বসে গল্প করার সময় অস্ত্রধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে রাজবিলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বাচনু মারমা (৫৫) নিহত হন। এ সময় আতঙ্কিত মারা যান প্রত্যক্ষদর্শী বাখইং মারমা (৬৫)।

সকালে শহরে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

এতে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা লক্ষ্মীপদ দাশ এবং জেলা পরিষদ সদস্য ক্যসাপ্রু মারমা।

বক্তারা অপরাধী যে-ই হোক তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি করেন।

তারা কোনো গোষ্ঠীকে দায়ী না করে ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা’ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন।

এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাদেক হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য শান্তি ও উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তি এ ঘটনার পেছনে জড়িত থাকতে পারে। এদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

বিবৃতিতে মন্ত্রী আরও বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু সন্ত্রাসী ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি আপামর জনগোষ্ঠী শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তির পর পশ্চাৎপদ অঞ্চলে যেভাবে উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে তাকে নস্যাৎ করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী চক্র তৎপর।

এদিকে, জামছড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেনি বলে জানিয়েছেন বান্দরবান সদর থানা ওসি শহিদুল আলম চৌধুরী।

গুলিবিদ্ধ ৪ জন চট্টগ্রামে

বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকতা (আরএমও) প্রত্যুষ পাল ত্রিপুরা জানান, হামলায় গুলিবিদ্ধ চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এরা হলেন সাবেক ইউপি সদস্য উচথোয়াই মারমা (৬০), মংক্যসিং মারমা (২৬), হ্লামংসিং মারমা (৩৫) ও আদাসে মারমা (৩২)। এর মধ্যে আদাসে মারমা বাক-প্রতিবন্ধী। তাদের সবার বাড়ি জামছড়ি পাড়ায়।

তবে গুলিতে আহত আরেকজন ক্যমংপ্রু মারমা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।