সীমান্তে একুশের অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাসের বাগড়া

‘করোনাভাইরাসের কারণে’ এ বছর বেনাপোল ও পেট্রাপোলের মাঝখানে শূন্যরেখায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হয়নি।

আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2020, 08:30 AM
Updated : 21 Feb 2020, 08:43 AM

তবে দুই দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শূন্যরেখায় অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় তাদের মধ্যে হয়েছে সংক্ষিপ্ত আড্ডা ও স্মৃতিচারণা। দুই বাংলার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সীমান্তরেখার দুই পাশে আলাদা অনুষ্ঠান করেছে।

ভারতের বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য বলেন, “২০০২ সাল থেকে বনগাঁর কিছু সংস্কৃতিকর্মী ‘একুশে উদযাপন কমিটি’ গড়ে সীমান্তের শূন্যরেখায় মাতৃভাষা দিবস পালন শুরু করেন। সেই থেকে প্রতিবছর একদিনের জন্য খুলে যায় সীমান্তের গেইট। বসে দুই বাংলার মিলনমেলা।
“এবার নিরাপত্তা ও করোনাভাইরাসের কারণে শূন্যরেখায় প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে।”
সম্প্রতি করোনাভাইরাসে অন্তত ২২৪৭ জন চীনা নাগরিক মারা গেছেন। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে চীনের দুটি জেলখানায়ও। শুধু চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অন্তত ২৬টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। আতঙ্কে রয়েছে সারা দুনিয়া।
দুই বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি আহ্বায়ক শার্শা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু।
তিনি বলেন, ২০০২ সালে ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দুই বাংলার ‘ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা-পদ্মা ভাষা ও মৈত্রী সমিতির’ উদ্যোগে সীমান্তবর্তী প্রায় ২০টি সংগঠন বেনাপোল-পেট্রাপোলের এই মিলন মেলার সূচনা করে। দিনে দিনে বেড়েছে এ মিলনমেলার পরিধি। তৈরি হয়েছে পারস্পরিক আস্থা ও ভালোবাসার বন্ধন।
“এবার দুই বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি পৃথকভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এপারে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের সামনে আর ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের রপ্তানি টার্মিনালে তৈরি করা হয়েছে দুটি ‘একুশে মঞ্চ’। বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীরা সেসব মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।”