সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার পাকুড়তলা এলাকায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
সকালে আপেল ও মামুন গরু কেনার জন্য বাসে করে গোবিন্দগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পথে চণ্ডীহারা বন্দরের কাছে পাকুড়তলায় তাকে হত্যা করা হয় বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে ওই এলাকাবর লোকজন জানান, গোকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের লোকজন বাসটি থামায়। তারা শত শত মানুষের সামনে বাসের ভেতর থেকে দুই ভাইকে টেনেহিঁচড়ে নামায়। তারপর তাদের মহাসড়কের পাশে একটি লিচুবাগানে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
গোকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ বিপুল বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দলের মধ্যে গ্রুপিং চলছে। এর জেরে ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গোকুল হল বন্দরে সনি নামে এক ব্যক্তি খুন হন। সনি হত্যা মামলার আসামি মামুন।
“মামুন গোকুল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য। আর তার ভাই আপেল মিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় কর্মী।”
আহত মামুনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পরিদর্শক রেজাউল বলেন, কুপিয়ে হত্যার এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য এলাকায় অভিযান শুরু করেছে।