গাজীপুরে স্কুলের পাশে প্লাস্টিক কারখানা, ‘দুর্গন্ধে পাঠদান ব্যাহত’

গাজীপুরে একটি স্কুলের পাশে কারখানায় প্লাস্টিক পণ্য তৈরি করায় দুর্গন্ধে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2020, 07:56 AM
Updated : 20 Feb 2020, 05:41 PM

সিটি করপোরেশনের বোর্ড বাজারে গাছা হাইস্কুলের পাশে লামিয়া গার্মেন্টস এক্সেসরিজ নামে এই কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের সব অনুমতি রয়েছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, কারখানায় যখন প্লাস্টিক দানা গলিয়ে প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কাজ শুরু হয়, তখন উৎকট গন্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেকেই সহ্য করতে পারে না। অনেকে বমি করে। অনেকে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। আর পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, কারখানায় কাজ চলার সময় দুর্গন্ধে ক্লাসরুমে বসে থাকা যায় না। দরজা-জানালা বন্ধ করে দমবন্ধ অবস্থায় ক্লাস করতে হয় তাদের।

শ্বাসকষ্ট, বমি হওয়া, মাথা ঘুরানো, অজ্ঞান হওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে।

কারখানা মালিক মো. শহিদুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সরকারি সব প্রক্রিয়া মেনেই ২০১৪ সালে এ কারখানা চালু করেন তিনি। আগে কারখানাটি হায়দরাবাদ এলাকায় ছিল। ২০১৭ সালে সেখান থেকে গাছা এলাকায় স্থানান্তর করা হয়।

“এখানে পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য পলিপ্যাক এবং গাম টেপসহ গার্মেন্টস এক্সসরিজ তৈরি করা হয়। এসব তৈরির সময় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো সমস্যা হচ্ছে বলে আমি মনে করি না। কেউ যদি অভিযোগ করে থাকে তা সঠিক নয়। আমি ওই স্কুলের নো-অবজেকশন সনদ নিয়েই পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিয়েছি।”

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, “প্লাস্টিক দানা গলিয়ে প্যাকেট তৈরি করা হবে এমন তথ্য গোপন রেখে শুধু গার্মেন্টস পণ্য তৈরি করা হবে বলে আমার কাছ থেকে ২০১৬ সালে নো-অবজেকশন সনদ নেওয়া হয়। আমার সঙ্গে ব্লাকমেইল করে সেখানে সেখানে প্লাস্টিক দানা গলিয়ে পরিবেশ দূষণ করে প্লাস্টিক প্যাকেট তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।

পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সালাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে কারখানার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।