পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক সাইদুল আরেফিন মজুমদার জানান, সদর ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের একই বাড়ির আটজন অসুস্থ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে আসেন।
এদের এক স্বজন (৩০) মঙ্গলবার এই হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে তিনজন তরুণী এবং পাঁচজন শিশু। শিশুদের মধ্যে আবার দুজন ছেলে এবং তিনজন মেয়ে। এদের মধ্যে একজন মৃত ব্যক্তির ছেলে, দুজন বোন, চারজন ভাতিজি ও একজন ভাতিজা।
তবে বরগুনার সিভিল সার্জন হুমায়ূন শাহিন খান বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
চিকিৎসক সাইদুল আরেফিন মজুমদার জানান, টেংরা গ্রামের একই বাড়ির আটজন অসুস্থ হয়ে বুধবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে আসেন। এরা সবাই আগের দিন মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্য।
“মঙ্গলবার ওই ব্যক্তি জ্বরসহ কয়েকবার বমি ও পায়খানা করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছুক্ষণ পরে মারা গেছেন। আজ যারা হাসপাতালে এসেছেন তারাও সবাই জ্বর, বমি, পাতলা পায়খানা নিয়ে এসেছেন।”
তবে এ কারণে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে তিনি জানান।
হাসপাতালের আরেক চিকিৎসক আবুল ফাত্তাহ বলেন, একই বাড়ির আটজন অসুস্থ ও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সংক্রান্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকার কারণে তাদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।
কিন্তু রোগীর পারিবারের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় তারা পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন।