এছাড়া কয়েকজন কর্মকর্তার সনদপত্রে অসামঞ্জস্য পাওয়ার অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৫৯তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
“উপাচার্যের কার্যালয়ে বারবার হামলা, শিক্ষক নিয়োগে বাধা প্রদান, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অসদাচরণ প্রমাণিত হওয়ায় ডিসিপ্লিনারি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের একরামুল কবীর দ্বীপ এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের অন্তর দে শুভকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।”
একই অভিযোগে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের হুমায়রা আজমিরা এরিন ও ইসমে আজম শুভকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হলেও তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এ আদেশ স্থগিত রাখারে সিদ্ধান্ত হয় বলে রশিদ জানান।
“তবে তারা যদি কোনো শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের এ শাস্তি কার্যকর হয়ে যাবে।”
ঘটনায় জড়িত অন্য শিক্ষার্থীরা ক্ষমা চাওয়ায় তাদের মানবিক দিক বিবেচনায় ক্ষমা করে দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
আব্দুর রশিদ আরও জানান, র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় ডিসিপ্লিনারি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান ও রায়হান উদ্দিনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যদের লঘুদণ্ডের অংশ হিসেবে সতর্ক নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
কয়েকজন কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত কমিটি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের সময় কয়েকজন কর্মকর্তার দাখিল করা সনদপত্রে অসামঞ্জস্য পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইন ও বিধি-মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান।
তবে কয়জন কর্মকর্তার সনদপত্রে অসামঞ্জস্য রয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি আব্দুর রশিদ।
উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।