মঙ্গলবার সকালে বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের নোহাইল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগের রাতে নোহাইল গ্রামে এ হত্যকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার কোহিনুর বেগম (২৫) নোহাইল গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী। তাদের দুই বছর বয়সী আরেকটি মেয়ে রয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নবী হোসেন খান বলেন, “কন্যা সন্তানের প্রতি বিরাগে মা নিজেই এ হত্যা করেছে।”
নবজাতকের মৃতদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
নবজাতকের বাবা আব্দুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার দুপুরে তাদের বাড়িতে কোহিনুরের দ্বিতীয় কন্যার জন্ম হয়।
রাতে ফিরে ঘরে নবজাতকসহ স্ত্রীকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের এক পুকুরে কাপড়সহ নবজাতকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান বলে জানান আবদুর রশিদ।
“স্ত্রীর বাসনা ছিল ছেলে সন্তানের, কিন্তু মেয়ে হওয়ায় সে পানিতে ফেলে দিয়ে পাশের একটি বিলে লুকিয়ে ছিল।”
এ ব্যাপারে আব্দুর রশিদ বাদী হয় কোহিনুর বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।