মারমা ভাষার স্কুলপাঠ্য রচয়িতা শৈফোচিং মারা গেছেন

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মারমা ভাষা শিক্ষার লেখক শৈফোচিং মারমা মারা গেছেন। মারমা ভাষার অভিধান প্রণয়নেও যুক্ত ছিলেন তিনি।

বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2020, 12:30 PM
Updated : 18 Feb 2020, 12:30 PM

বুধবার দুপুরে ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি অনুসারে তার শেষকৃত্য করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

গত সোমবার সন্ধ্যায় বান্দরবান সদর উপজেলা রেইছা থলি পাড়ায় নিজ বাড়িতে ৬৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

শৈফোচিং মারমা সত্তর দশকে বার্মার কমিউনিস্ট পার্টি সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৎকালীন বার্মার রাজধানী রেঙ্গুন, কায়ান ও আরাকান রাজ্যে বাস করেছেন এবং সে সময় বিভিন্ন জাতিসত্তার পক্ষে যুদ্ধে জড়িত ছিলেন বলে জানান তার ঘনিষ্ঠজনরা।

১৯৮৮ সালে বান্দরবানে রেইছাতে ফিরে এসে মারমা জনগোষ্ঠীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন।

তার বড় ছেলে মংবু মারমা জানান, সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের এক হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

“পরের দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে কোনো বেসরকারি হাসপতালে ভর্তি করার কথা ছিল; কিন্তু সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে মারা যান বাবা। কয়েক মাস ধরে প্রচণ্ড কাশিতে ভুগছিলেন তিনি।”

চাগাহ্ থিয়েটার পরিচারলক জলিমং মারমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শৈফোচিং এনসিটিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মারমা শিশুদের মাতৃভাষা শিক্ষার জন্য বইয়ের একজন লেখক ছিলেন।

এছাড়া মারমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করতেন।

মারমা শিশুদের জন্য এনসিটিবি বইয়ের অপর লেখক ক্যশৈপ্রু খোকা বলেন, এগার বছর ধরে তারা যৌথভাবে মারমা অভিধান লেখার কাজ করছিলেন, যেখানে তিন লাখ শব্দের মতো রয়েছে।

“তিনি মাতৃভাষায় কবিতা ও ছড়াও লিখতেন। বাংলার পাশাপাশি মারমা, বার্মিজ ও ইংরেজিও ভাল জানতেন।”

তার সর্বশেষ প্রকাশিত বই বাংলা ও মারমা ভাষার প্রবাদ-প্রবচন নিয়ে।

মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।