সোমবার র্যাব জানায়, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে রোববার গভীর রাতে আশুলিয়ার জামগড়া ও রূপায়ন মাঠ থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া পালোয়ানপাড়ার এক বাঁশঝাড় থেকে গলাকাটা লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পাশ থেকে রক্তমাখা মোটরসাইকেল আরোহীর দুইটি হেলমেট ও হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করেপুলিশ।
নিহত শামীম বেপারী বাবু (৩০) রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন চৌমুধিয়া গ্রামের মো. শাহিন বেপারীর ছেলে। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া মধ্যপাড়ায় স্ত্রীসহ বাস করতেন।
আটকরা হচ্ছেন- ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার জোড়বাড়িয়া কালাকন্দা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মামুনুর রশিদ (২২), ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার চরটিটিয়া গ্রামের সিদ্দিক মুন্সির ছেলে মাহবুবুর রহমান (২০) ও লালমনিরহাট জেলার সদর থানার কুলাঘাট গ্রামের আছর উদ্দিনের ছেলে মোমিন মিয়া (২০)। তারা সবাই আশুলিয়ার জামগড়ায় বিভ্ন্নি বাসায় ভাড়া থাকেন।
র্যাব-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া পালোয়ানপাড়ায় এক বাঁশঝাড় থেকে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নিহতের বাবা শাহিন বেপারী একটি হত্যা মামলা করেন।
“ওই মামলার সূত্র ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার গভীর রাতে আশুলিয়ার জামগড়া ও রূপায়ন মাঠ এলাকা থেকে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় নিহত পাঠাও চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকারীর রক্তমাখা প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।“
তিনি জানান, আটকরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পাঠাও চালক শামীমকে গাবতলী থেকে আশুলিয়ায় কৌশলে নিয়ে এসে গলাকেটে করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এর আগেও সংঘবদ্ধ এ চক্র একাধিক ছিনতাই সংঘটিত করার পর ভিকটিমদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে।
দিনে অন্য পেশায় নিয়োজিত এ চক্রের সদস্যরা রাতের আঁধারে ছিনতাই করতেন।