রোববারের এই অভিযানে পাচারকারী সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারসহ অনেক পাসপোর্ট, কম্পিউটার ও নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
উদ্ধার রোহিঙ্গারা হলেন ১২/১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী, মো. আমির হোসেনের ছেলে মো. জাহেদ হোসেন (২৫) এবং মো. হাকিম শরীফের ছেলে মো. রফিক (৩৭)। এরা কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন চৌদ্দগ্রামের কাপড়চতলী গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম ওরফে রুবেল (৩২), একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. নুরুল হক (২৯) এবং ডিমাতলী গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে কাজী ফয়সাল রনি (৩২)।
“গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের জাল কাগজপত্রে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল।”
মেজর সাকিব আরও জানান, অভিযানে ৩৯ পাসপোর্ট, বিপুল সংখ্যক ভুয়া জন্ম সনদ, পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম, তিনটি কম্পিউটার, দুইটি কম্পিউটার প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা, সাতটি মোবাইল ফোন এবং পাসপোর্টের বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করবে বলেও মেজর সাকিব জানান।