সোমবার মাগুরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বরে মানবন্ধন ও সমাবেশ করেছে হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
সোমবারের সমাবেশে ছাত্রনেতা সৈয়দ খালিদ হাসান রুবেল, আবু হুরায়রা, মোহাম্মদ অমিতসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সৈয়দ খালিদ হাসান রুবেল বলেন,“শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে গত ১৭ দিন ধরে আমাদের দ্বিতীয় শিফটের সব ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যক্রম শেষ করা নিয়ে আমরা সমস্যায় পড়েছি।
“দ্রুত এর সমাধান জরুরি।”
২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে পলিটেকনিকে দুই শিফটে ক্লাস নেওয়া শুরু হয়। দুই শিফটেই একই শিক্ষকরা ক্লাস নিয়ে থাকেন। ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ায় ভাতা পাচ্ছিলেন। তবে ২০১৮ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় শিফটের পাঠদানের ভাতা কমিয়ে দেয়। এতে শিক্ষকরা বিক্ষুব্ধ হয়। দাবি আদায়ে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দেন তারা।
শিক্ষকদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে এ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক বাবুল ভট্টাচার্যসহ অন্যরা জানান, ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে এ প্রতিষ্ঠানে পাঁচটি বিষয়ে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস শুরু হয়। এতে পাঠদানকারী শিক্ষকরা প্রথম শিফটের মূল বেতন ভাতার পাশাপাশি ২০১৫ সালে পে-স্কেল অনুযায়ী মুল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ভাতা পেয়ে আসছিলেন। ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ সম্মানী পেয়েছেন তারা।
২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় শিফটের পাঠদানের সম্মানী ২০১৫ সালের পে স্কেলের বদলে ২০০৯ সালের পে-স্কেলে দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করার পর সারাদেশের শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নানাভাবে আবেদন জানান। কোন ফল না পেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় শিফটে পড়ানো বন্ধ রেখেছেন তারা।
তিনি বলেন, পে-স্কেল বদলে দেওয়ার কারণে ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী মূল বেতন ২২ হাজার টাকার স্কেলের ৫০ শতাংশ হিসাবে যে শিক্ষক দ্বিতীয় শিফটের জন্য ১১ হাজার টাকা পাচ্ছিলেন তা এখন ২০০৯ সালের স্কেল অনুযায়ী মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ধার্য হয়েছে।
“অথচ দ্বিতীয় শিফটে একজন শিক্ষককে প্রথম শিফটের মতই দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ শিফটে পাঠদান থাকার কারণে শিক্ষককে সকাল ৮টায় এসে সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি ফিরতে হয়। শুধু প্রথম শিফটের পাঠদান করলে দুপুর ১টায় তার কাজ শেষ হত।”
শিক্ষকরা ২০১৫ সালের স্কেলে ভাতা বহাল না করলে দ্বিতীয় শিফটের জন্য পৃথক শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।