বগুড়ায় স্ত্রীকে ‘ধর্ষণ করানোর’ মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার

বগুড়ায় ‘বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ’ করানোর পর পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার মামলায় এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2020, 05:35 PM
Updated : 16 Feb 2020, 05:35 PM

রোববার জেলা শহরের ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনাল থেকে রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান।

ওসি আজিম উদ্দিন জানান, একটি কোচে উঠে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনালে গেলে গোপন সংবাদ পেয়ে রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগটি তদন্ত শেষে রোববার সকালে তা এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয় এবং ধর্ষণকারী হিসেবে আরেকজনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের পর থেকে রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে অহেতুক নির্যাতন করে আসছিলেন। রফিকুলের সঙ্গে অন্য মেয়ের পরকীয়া সর্ম্পক রয়েছে।

“নির্যাতন সইতে না পেরে ২০১৮ সালে স্ত্রী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা তুলে নিতে স্ত্রীর উপর নির্যাতন করতেন রফিক।”  

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ওই নারীকে গাইনি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার পেটসহ শরীরের একাধিক স্থানে ফোস্কা এবং মাথার কিছু চুল কাটা রয়েছে।

“যেহেতু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাই ওই নারীর ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি।”

শনিবার দুপুরে শহরের চকলোমান এলাকা থেকে অগ্নিদগ্ধ ওই নারীকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে রফিকুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।

জেলার গাবতলী এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ‘হানিফ পরিবহনের’ সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত ২৪ জানুয়ারি তিনি স্ত্রী ও সাত বছর বয়সী এক মেয়েকে নিয়ে শহরের চকলোকমান এলাকায় তার ভাইয়ের বাসা ভাড়া নেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী রফিকুল ইসলাম সকালে তার এক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় আসে। এক পর্যায়ে তারা দুজনে মিলে তার হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর একটি ঘরে তুলে স্বামী তার বন্ধুকে ওই ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে ধর্ষণের নির্দেশ দিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। ধর্ষণের পর তাকে মারপিট করে মাথার বেশকিছু চুল কেটে ফেলে। এক পর্যায়ে তার শরীরে আগুন দিয়ে তারা বাড়ির বাইরে চলে যায়।