রোববার কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যদি তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন তাহলে সরকার তার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে।”
পরিবার কিংবা দলের পক্ষ থেকে খালেদার প্যারোলে মুক্তি চেয়ে কোনো আবেদন করা হয়নি বলে জানান তিনি।
কারাবন্দি খালেদার চিকিৎসায় সরকার কোনো রাখছে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৭৪ বছর বিএনপি নেত্রী আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।
বিএনপি নেতারা আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কথা সভা সমিতিতে বললেও বিভিন্ন সময় দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারকে মানবিক বিবচনায় হলেও তার মুক্তি বিষয়টি ভাবার আহ্বান জানায়।
দুপুরে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ইছাপশর বেলংকা গ্রামে জামিয়াতুল ইসলাহ আল-মাদানিয়া মাদ্রাসা ময়দানে তিন দিনব্যাপী ইসলাহী ইজতিমার শেষ দিন তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
সমাবেশে সমবেতদের উদ্দেশে কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
“আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর নামে দেশজুড়ে মানুষ হত্যা শুরু হলো। এদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার অপচেষ্টা হলো। জঙ্গিবাদের কারণে আমরা একসময় চরম সংকটে ছিলাম। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী তখন সকল পেশাজীবী মানুষের ঐক্যের ডাক দিলেন।”
সেই আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের সকল মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিহত করেছিল বলেই জঙ্গিবাদ মোকাবেলা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং এজন্য নিরাপত্তা বাহিনী সজাগ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
বক্তব্য শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন শোলাকিয়া ঈদগাহর ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ইজতিমায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেন।