যশোরে পিকনিকের বাস পুকুরে পড়ে নিহত শিশুদের স্মরণ

যশোরের বেনাপোলে ছয় বছর আগে পিকনিকের বাস পুকুরে পড়ে নয় শিশু নিহত হওয়ার দিনটি স্মরণ করেছেন স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2020, 04:29 PM
Updated : 15 Feb 2020, 04:29 PM

২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শার্শা উপজেলার বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পিকনিকের বাস মেহেরপুর থেকে ফেরার পথে চৌগাছা উপজেলার ঝাউতলায় উল্টে পুকুরে পড়ে যায়।

পৌরসভার ছোটআঁচড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর দুই মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির সুরাইয়া আফরিন ও তৃতীয় শ্রেণির জেবাইয়া আফরিন, একই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণির শান্ত ইসলাম, ইউনূস আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির মিথিলা আফরোজ, কালু মিয়ার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির রুনা খাতুন, গাজীপুরের সেকেন্দার আলীর ছেলে চতুর্থ শ্রেণির সাব্বির হোসেন ও নামাজ গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির আখি আক্তার ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

এছাড়া ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছোটআঁচড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে পঞ্চম শ্রেণির একরামুল হক ও একই গ্রামের ইমানুর রহমানের ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ইয়ানুর রহমান।

নিহত শিশুদের স্মরণে বেনাপোলবাসী দিনটিকে 'পৌর শোক দিবস' হিসেবে পালন করে আসছেন। এছাড়া বেনাপোল পৌরসভা বিদ্যালয়ের সামনে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, পেশাজীবী সংগঠন, শ্রমজীবী মানুষ, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা স্মরণ সভায় যোগ দিতে ওই বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হন।

সেখান থেকে একটি শোক শোভাযাত্রা বের হয়। এক কিলোমিটার ঘুরে আবার স্মৃতিস্তম্ভের সামনে ফিরে আসে। এরপর বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া হয়।

স্মরণসভায় নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্বজনরা উপস্থিত হওয়ায় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সহপাঠী শিশুবন্ধু ও মা-বাবারা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় উপস্থিত সবাই আবেগাপ্লুত হন।

বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাক হোসেন স্বপন, শার্শার সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, শার্শা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, জেলা পরিষদ সদস্য এসএম ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ আব্দুর রব অনুষ্ঠানে ছিলেন।