কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট নাঈম-উল হক জানান, শনিবার বেলা ১২টার দিকে জেলার টেকনাফ উপজেলায় সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ এলাকায় বঙ্গোসাগর থেকে ভাসমান একটি লাশ উদ্ধার করেন তারা।
লাশে পচে ওঠায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর হতে পারে। লাশ ফুলে উঠেছে। চামড়া উঠে গেছে।
“ধারণা করা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন।”
পরে শনিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ সংলগ্ন সাগরে ভাসমান অবস্থায় এক পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান নঈম-উল হক।
লাশ পচে যাওয়ায় তারও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না হলেও তার আনুমানিক বয়স ৩০ বলে জানান তিনি।
এই দুজনকে নিয়ে ট্রলার ডুবির পর মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ জনে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় একই এলাকা থেকে আরও এক নারীর লাশ উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।
মঙ্গলবার ভোরে ওই এলাকায় ১৩৮ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। সেদিন কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় জেলেরা ১৫ রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করে। জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭২ জনকে। অন্যরা এখনও নিখোঁজ।
এই রোহিঙ্গারা দালাল ধরে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে কোস্ট গার্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।