সাভারে মাদকাসক্ত হত্যায় দুজন গ্রেপ্তার, ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকার সাভারে নিউ আদর নামে বেসরকারি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে অসুস্থ যুবক জাহাঙ্গীর আলমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2020, 11:56 AM
Updated : 15 Feb 2020, 11:58 AM

শুক্রবার রাতে নিহতের বড় ভাই মানিক মিয়া বাদী হয়ে ওই কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফুল ইসলাম জুয়েলসহ (৪০) আটজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন বলে এসআই মনিরুজ্জামান জানান।

অপর আসামির হলেন- পরিচালক আরিফুল ইসলাম রাজু (৩০) ও রোমান মৃধা (৩৫) এবং প্রশিক্ষক রবিউল হোসেন (২০) ও লাবিব আহম্মেদ (২৭)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার পর রাতেই পৌর এলাকার রেডিও কলোনি মহল্লার উত্তরা মার্কেটের তৃতীয় তলায় ওই নিরাময় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রবিউল ধামরাইয়ের ছোট চন্দ্রাই দক্ষিণপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আর লাবিব গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার আশোলাই গ্রামের আবদুস সোবাহানের ছেলে।

তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে মালিকসহ অন্যরা।

ময়মনসিংহের ফুলপুরের বড়ইকান্দি গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের দুই ছেলে পরিবার নিয়ে পৌর এলাকার তালবাগ মহল্লার ভাড়া বাসায় থেকে সাভার থানা রোডে হোটেল চালাতো।

জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় তাকে সুস্থ করার জন্য বৃহস্পতিবার বিকালে নিরাময় কেন্দ্রের লোকরা এসে নিয়ে বাসা থেকে নিয়ে যায়। পরদিন এনাম মেডিকেলে তার লাশ পাওয়া যায়। তার গায়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন।

তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাহাঙ্গীরকে সুস্থ করার জন্য নিউ আদর মাদকসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের এমডির সঙ্গে মাসে ১০ হাজার টাকার চুক্তি করেন মানিক।

“তারাই জাহাঙ্গীরকে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাসা থেকে নিয়ে যায়। এরপর ভাইয়ের সাথে আর যোগাযোগ হয়নি। ছোট ভাইকে তারা পিটিয়ে হত্যা করে লাশ এনাম মেডিকেলে ফেলে পালিয়ে যায়।”

এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, “গ্রেপ্তার রবিউল ও লাবিব প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চিকিৎসার নামে জাহাঙ্গীরকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

ঘটনার পর থেকে পলাতক মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের তিন মালিককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে তিনি জানান।

ওই নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি একাধিক মাদকাসক্ত শুক্রবার পুলিশের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় রাতেই হাত-পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুজে জিআই পাইপ দিয়ে তাদের পেটানো হতো, স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হতো না তাদের।