ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন আটকে ট্রেনের দাবি

নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেন এবং ঢাকা-সিলেট রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে ট্রেন আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2020, 08:51 AM
Updated : 15 Feb 2020, 08:51 AM

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের ব্যানারে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রেল স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফরমে এই অবস্থান কর্মসূচি চলে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাতে যোগ দেয়।  

সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনি এক্সপ্র্রেস ট্রেনটি বেলা সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন অতিক্রমের সময় সেটি আটকে দেয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা।

পরে নাগরিক ফোরামের নেতাদের অনুরোধে আন্দোলনকারীরা রেললাইন থেকে সরে গেলে ১০ মিনিট পর ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যায়।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, জেলা জাসদের সভাপতি আকতার হোসেন সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আবদুন নূর।

তারা বলেন, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করলেও সেবার মান খুব খারাপ। যাত্রী সংখ্যার বিপরীতে টিকেট সংখ্যা কম। টিকেটের বেশির ভাগ চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে।

যাত্রীদের এই দুর্ভোগ লাঘবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেনের দাবি জানান বক্তারা।

এছাড়া সিলেট-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর কালনি এক্সপ্রেস ও বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনকে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীতের দাবি জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।