ফাগুনের প্রথম দিন শুক্রবার সকালে রাঙামাটি ডিসি বাংলো এলাকা থেকে শুভলং যাওয়ার পথে কাপ্তাই লেকে একটি নৌকা ডুবে ছয় জন মারা যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এরা হলেন- রিনা আক্তার (৩২), শিলা আক্তার (২৭). আসমা আক্তার (২২) ও আফরোজা আক্তার (১৪)। একজনের নাম জানা যায়নি। তবে সবাই চট্টগ্রাম প্যাসিফিক জিন্স গার্মেন্টসের কর্মী বলে জানা গেছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর জানিয়েছেন, নৌকাডুবির ঘটনায় হাসপাতালে পাঁচজনের মরদেহ আনা হয়েছে।
এদিকে জেলার কাপ্তাই উপজেলার কয়লার ডিপোসংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) একটি তীর্থযাত্রী দলের ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে একজন নিহত হয়েছে।
এঘটনায় আরো দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত (ইউএনও) আশ্রায় আহমেদ রাসেল জানান।
নিহত দেবলিনা দে (১০) চট্টগ্রাম কোতয়ালী থানার হাজারিগলি এলাকার রতন দের কন্যা।
নিখোঁজরা হলেন- চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার হরিপুর মজুমদার বাড়ির রাজিব মজুমদারের স্ত্রী টুম্পা মজুমদার ৩০ ও ছেলে বিজয় মজুমদার (৫)। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবুরি দল অভিযান চালিয়েও তাদের সন্ধান পায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা ছুফি উল্লাহ বলেন, “কাপ্তাইয়ে পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।”
কাপ্তাই হ্রদে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ছাদ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
নৌপথে ঝুঁকি ও দুর্ঘটনা এড়াতে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে চলাচলকারী সব ট্যুরিস্ট বোটের ছাদ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের সংঘঠিত দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বিকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সভা থেকে নিষেধাজ্ঞা আসে।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ হ্রদে চলাচলকারী ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকা ও লঞ্চের ফিটনেস চেকিং করতে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের এবং ট্যুরিস্ট পুলিশকে হ্রদের পর্যটকদের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানান।