বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে যৌন নিপীড়ন সেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, গ্রেপ্তার আসামিরা যেন ছাড়া না পায়, ক্যাম্পাস পরিবেশ নারীবান্ধব করা, বহিরাগতদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা এবং ক্যাম্পাসে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ২০ কিলোমিটার করা।
বুধবার মামলার প্রধান আসামি মাহফুজুর রহমান সরুদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাজলা সাঁকপাড়ায় এক ভাড়া বাসায় (মেস) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান সারুদ তার বান্ধবী ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে-গল্প করার কথা বলে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। মাহফুজুরের বন্ধু বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ের আইনের ছাত্র প্লাবন সরকার, রাফসান এবং কাজলার স্থানীয় যুবক জয়, জীবন ও বিশাল মোবাইলে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা।
মতিহার থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, “আসামি বিশাল বাদে বাকি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আসামি জীবন ও জয় সোমবার রাজশাহী মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
“মূল আসামি মাহফুজুর রহমানকে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল। তার দুই দিনের রিমান্ড বুধবার শেষ হয়।”
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার এসআই আব্দুর রহমান বলেন, “দুজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেছে-তারা ঘটনার আগের দিন একটি চায়ের দোকানে বসে পরিকল্পনা করেছিলেন।
“দুই দিনের রিমান্ডে মূল আসামি মাহফুজুর রহমানের দাবি- ‘তাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
বুধবার রিমান্ড শেষে তাকে বুধবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।