সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের

সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2020, 02:41 PM
Updated : 11 Feb 2020, 02:41 PM

তাদের মৃত্যু দিবসে সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় তারা সরকারের প্রতি পাঁচদফা দাবি জানান।

সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, সাবেক সভাপতি রুমন রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাউদ আল মাসুদ, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেইন স্মিথ, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মীর আব্দুল আলিমসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকার বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ।

কর্মসূচিতে বক্তারা গত আট বছরে একাত্তর বার সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছানোর সমালোচনা করেন।

কর্মসূচিতে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারে ৫ দফা দাবি দেওয়া হয়।

এগুলো হলো সাগর-রুনি হত্যার পর এখন পর্যন্ত ঘটনা তদন্তের বিষয়ে সরকার ও তদন্ত সংস্থার গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকারি প্রেসনোট জারি; তদন্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে ৫ সদস্যের একটি পরার্মশক ও তদারক কমিটি গঠন করা; তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদকে প্রতিমাসে অন্তত একবার জানানো; ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাগর-রুনির খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচার সম্পন্ন করা এবং সাগর-রুনি ছাড়াও সকল সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানিতে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিচার করা।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানী ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।

দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ওই রাতে তারা ছাড়া ঘরে ছিল তাদের একমাত্র শিশুসন্তান।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই কারণ অনুসন্ধান করে খুনিদের শাস্তি দিতে সে সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সময় নিয়েছিলেন ৪৮ ঘণ্টা। কিন্তু আট বছরে কয়েক দফা তদন্ত কর্মকর্তা বদলেও কোনো আলোর দেখা মেলেনি।

সোমবার ছিল মামলায় প্রতিবেদন দেওয়ার দিন। কিন্তু দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা। এই নিয়ে মোট ৭১ বারের মত পিছয়ে যায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র সরকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম সোমবার প্রতিবেদন না দেওয়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম আগামী ২৩ মার্চ প্রতিবেদন দেওয়ার নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।