মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের মালশাপাড়া কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আহ্বানে ড. নীলিমা ইব্রাহীমের নেতৃত্বে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের (বীরাঙ্গনা) জন্য সিরাজগঞ্জ শহরে নারী পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়া সরকার এ পুনর্বাসন কেন্দ্র বিলুপ্ত করে। পরে ১৯৮০ সালে তার গড়া বেসরকারি সংস্থা ‘উত্তরণ মহিলা সংস্থা’র মাধ্যমে আমৃত্যু তাদের সেবায় সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত শতাধিক নারীকে পুনর্বাসন করেছেন তিনি।
এর পাশাপাশি তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতেও সক্রিয় ছিলেন।
গত সোমবার সন্ধ্যারাতে শহরের এসএস রোডস্থ তার বাড়িতে ৬৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিরাজগঞ্জ সদর ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গাজী আশরাফুল ইসলাম জগলু চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাফিনা লোহানী নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন।
সাফিনা ১৯৫৩ সালে পহেলা সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ শহরে লোহানী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই মাসের সন্তান কোলে নিয়েও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেন তিনি৷
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সিরাজগঞ্জ কমিটির সদস্য হিসেবেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন।
তার স্বামী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন দৈনিক ইত্তেফাকের উত্তরাঞ্চলের ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ছাড়াও এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।