গোপালগঞ্জে ইতিহাস বিভাগ বন্ধের প্রতিবাদে ছাত্র বিক্ষোভ অব্যাহত

গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি বন্ধের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে চলছে ছাত্রবিক্ষোভ।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2020, 12:33 PM
Updated : 10 Feb 2020, 12:48 PM

সোমবার পঞ্চম দিনের মত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

এতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়াই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ চালু করা হয়। বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিলওয়াবস) ইনস্টিটিউটের অধীনে এটি খোলা হয়।

এর তিন বছর পর, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির এক সভায় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ইতিহাস বিভাগে আর শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ খবর পেয়ে ওই ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেদিন রাতেই প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান নূপুর বলেন, ইউজিসি যতদিন পর্যন্ত আমাদের বিভাগের স্বীকৃতি না দেবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।

“এছাড়া আমাদের আন্দোলনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী এবং কয়েকজন শিক্ষক সংহতি প্রকাশ করেছেন।”

বাংলা চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন, “ইতিহাস বিভাগের দাবি আদায়ের আন্দোলন ন্যায্য। এ কারণে আমরাসহ আইন, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, মার্কেটিং, কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিসংখ্যান, মনোবিজ্ঞানসহ ২৮টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।”

করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয়। রোববার তারা কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। তাই দুইদিন ধরে অফিস ও  ক্লাস বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, ইউজিসির এক সভায় বিভাগটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

“এছাড়া আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিভাগটিতে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

“তারপরও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আমরা বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছি। তারা আমাদের বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তাদের কোন ক্ষোভ নেই। তারা অধিকার আদায়ের আন্দোলন করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।

“তাদের দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সরবে না। “