রাঙামাটির নাসির হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতা নাসির হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2020, 12:31 PM
Updated : 10 Feb 2020, 12:34 PM

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মো. জিয়াউল হক জানান, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার মীর শাকিল জেলা ছাত্রলীগের সদস্য।

বিকালে রাঙামাটি জেলা জজ আদালতে হাজির করা হলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এসআই জিয়াউল বলেন, মীর শাকিল গত ২৭ জানুয়ারি যুবলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিরকে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারধরের ঘটনায় থানায় দেওয়া এক অভিযোগেও তার নাম আছে।

গত ২৭ জানুয়ারি রাঙামাটি শহরের প্রত্যাশা ক্লাবে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতা নাসিরকে পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কয়েকজন যুবক। এরপর তারা নাসিরকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের সামনে ফেলে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

হামলার তিন দিন পর ৩০ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় নাসিরের স্ত্রী সালেহা আক্তারের করা হত্যাচেষ্টা মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।

এই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনসহ আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আসামি করেন তিনি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. নাসির

অপর আসামিরা হলেন জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব খান, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মীর শাকিল, মো. আজমীর এবং রাঙামাটি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপঙ্কর দে।

মামলা দায়েরের ১২ দিনেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় রোববার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে নাসিরের মা, স্ত্রী, সন্তান ও ভাইবোনসহ পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা।

১৩ দিন পর সোমবার এক আসামি গ্রেপ্তার হলো।

রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন টিপু গ্রেপ্তার মীর শাকিলের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ঢাকায় আছেন। তারা ফিরে এলে মীর শাকিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেন, “দোষ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মীর শাকিলের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব না।”