গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনোয়ার হোসেন মন্টু। তার বিরুদ্ধে ইসলামী কমার্শিয়াল ব্যাংকে ঋণ খেলাপি হওয়ার তথ্য গোপন করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২৮ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর চিঠিটি চিঠিটি রোববার হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে-২০১৬ সালের ৩১ মার্চ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঝিগাতী ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে হলফ নামায় কাজী মনোয়ার হোসেন মন্টু ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করেন।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, এ তথ্য গোপান করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না-তার জবাব চাওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠির জবাব পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চেয়াম্যানের তথ্য গোপানের বিষয়ে মাঝিগাতী ইউনিয়েনের গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মীর খসরুল আলম জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তা নির্বাচন কমিশনের পাঠিয়ে দিই।”
এ অভিযোগে বলা হয়-ইসলামী কমার্শিয়াল ব্যাংকের গোপালগঞ্জ শাখা থেকে কাজী মনোয়ার হোসেন মন্টু অবৈধভাবে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার ঋণ নেন।
‘দুর্নীতির মাধ্যমে গ্রহণ করা ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটি চলমান রয়েছে।’
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন মন্টু বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা চলমান ছিল। এ মামলায় আমার বিরুদ্ধে একটি সমবায় সমিতির এক লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে মাত্র।
এটি ঋণ খেলাপির মামলা নয় বলে দাবি করেন তিনি।