রাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ, ছাত্র রিমান্ডে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক ছাত্রকে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2020, 10:43 AM
Updated : 10 Feb 2020, 10:54 AM

সোমবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত-৫ এর বিচারক সেলিম রেজা শুনানি শেষে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মাহফুজুর রহমান সারদ নামের ওই ছাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

২৪ জানুয়ারির এ ঘটনার তিন দিন পর ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। আসামিদের মধ্যে মাহফুজুর রহমান সারদ রাবি ছাত্র। তার দুই বন্ধু বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রাফসান এবং প্লাবন তালুকদারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া আসামি করা হয়েছে জীবন, জয় ও বিশাল নামে স্থানীয় তিন যুবককে। যাদের মধ্যে বিশাল পালাতক রয়েছেন।

মতিহার থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, ধর্ষণের ও তার ভিডিও ধারণের ঘটনার মামলায় মাহফুজুর রহমানের তিনদিনের রিমান্ড চেয়ে রোববার আদালতে আবেদন করা হয়। সোমবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সোমাবার বিকালে তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।

মামলার বিবরণ থেকে ওসি মাসুদ বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাহফুজুর রহমান সারদ তার বান্ধবীকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলার সাকপাড়ার একটি মেসে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং তার ভিডিও ধারণ করা হয়।

“পরে ভিডিও দেখিয়ে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে মাহফুজুরের বন্ধুরা। টাকা না দিলে ইন্টারনেটে ওই ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা।

“ছাত্রীটি এ ঘটনা তার অভিভাবকদের জানালে গত ২৭ জানুয়ারি মতিহার থানায় বিষয়টি মাহফুজুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে তার মা।”

আসামিদের গ্রেপ্তারের বিবরণ দিতে গিয়ে ওসি বলেন, থানায় মামলা হওয়ার পর ২৭ জানুয়ারি রাতেই পুলিশ অভিযানে নামে। এ সময় সাকপাড়া ছাত্রবাস থেকে মাফুজুর রহমান সারদ এবং তার দুই বন্ধু বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাফসান এবং প্লাবন তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

“পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ৭ ফেব্রুয়ারিতে জীবন ও জয়কে গ্রেপ্তার করে ভিডিওটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরদিন তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাদের কারাগার পাঠানো হয়েছে।”

তবে বিশাল নামের এ মামলার অপর আসামি পালাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ওসি।