গত বছর বাংলাদেশে ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকদের হতাশা থেকে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে তাদের ভাষ্য।
শুক্রবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মুঈদ, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।
আব্দুল মাজেদ বলেন, ফুলপুর উপজেলার মধ্য সিংহেশ্বর গ্রামে প্রায় চার মাস আগে চীনের ডিং জাং, লেহে কিং ও সান জং এই কাজ শুরু করেন। তারা ১২ একর জমি দুই বছর মেয়াদে ইজারা নিয়ে চাইনিজ তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। এখানে পলিথিন দিয়ে ১৬৮টি শেড তৈরি করা হয়েছে। তারপর গত ২০ ডিসেম্বর চার জাতের প্রায় ৫০ হাজার তরমুজের চারা রোপণ করা হয়।
উদ্যোক্তারা প্রতিটি তরমুজ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রির আশা করছেন বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মাজেদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও ফল ধরা শুরু হয়েছে। কিছুদিন পরই বিক্রি শুরু হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
প্রকল্প পরিচালকদের একজন হলেন ডিং জাং।
তিনি বলেন, “গত বছর বোরো ধানের দাম কম পেয়ে কৃষকদের মাঝে হতাশা ও ধান পুড়িয়ে দেওয়ার খবর জানতে পারি। সেজন্য ১২ একর জমি লিজ নিয়ে ধানের বিকল্প হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প শুরু করেছি।
যারা ক্ষেত পরিচর্যার কাজ করছেন তাদের দুইজন হলেন ওই এলাকা আব্দুল আলিম ও মহর আলী।
তারা জানান, স্থানীয় ১২ শ্রমিক এখানে কাজ করছেন। প্রত্যেকের বেতন মাসে ১০ হাজার টাকা।
কাজ করার পাশাপাশি তারা চাইনিজ তরমুজ চাষের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পরে সুযোগ হলে নিজেরা চাষ করবেন বলে জানান।
চাইনিজ জাতের তরমুজ বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফুলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদ বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময় তাদের যেকোনো পরামর্শে পাশে আছেন। চাইনিজরা যদি সফল হয় তাহলে বাংলাদেশেও ভবিষ্যতে এই তরমুজ জনপ্রিয় হবে।