রপ্তানি মৌসুমের মাঝপথে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আরও কিছুদিন বন্ধ থাকলে কাঁকড়ার খামার হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন অনেক খামারি।
“মোট রপ্তানির ৭০ শতাংশের বেশি কাঁকড়া চীনের বাজারে আমরা দিয়ে থাকি। এই ভরা মৌসুমে চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় তারা কাঁকড়া নিচ্ছে না। তাই গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সরকার কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা না উঠলে এখানকার চাষিদের দারুণভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।”
সরজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা অনেকেই কেবল কাঁকড়া রপ্তানি শুরু করেছিলেন। সেই মুহূর্তে এই নিষেধাজ্ঞা আসে।
“পাঁচ বিঘা জমিতে এ বছর অন্তত ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। এর অধিকাংশ টাকা ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেওয়া। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে আমরা খামার থেকে কাঁকড়া ধরে বাজারে বিক্রি করি। এ সময় বিদেশে কাঁকড়ার বিপুল চাহিদা থাকে। কাঁকড়া বিক্রি শুরু হতে না হতেই বন্ধ হয়ে গেছে।”
সেলিম বলেন, তার খামারে প্রতিদিনই কাঁকড়া মারা যাচ্ছে। এতে তিনি আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি প্রচুর কাঁকড়া মরে খামারের পানি দূষিত হতে পারে।