করোনাভাইরাস: বাগেরহাটে কাঁকড়া চাষিরা বিপাকে

চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সে দেশে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে বাগেরহাটের খামারিরা বিপাকে পড়েছেন।

অলীপ ঘটক বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2020, 06:24 AM
Updated : 8 Feb 2020, 07:04 AM

রপ্তানি মৌসুমের মাঝপথে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আরও কিছুদিন বন্ধ থাকলে কাঁকড়ার খামার হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন অনেক খামারি।

অতিরিক্ত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমল কান্তি রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি তিন মাসে চীনে নানা উৎসব থাকে। এ সময় বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া সে দেশ রপ্তানি হয়।

“মোট রপ্তানির ৭০ শতাংশের বেশি কাঁকড়া চীনের বাজারে আমরা দিয়ে থাকি। এই ভরা মৌসুমে চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় তারা কাঁকড়া নিচ্ছে না। তাই গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সরকার কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা না উঠলে এখানকার চাষিদের দারুণভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।”

মোট রপ্তানির ৩০ শতাংশের বেশি কাঁকড়া বাগেরহাটে চাষ হয় বলে তিনি জানান।

সরজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা অনেকেই কেবল কাঁকড়া রপ্তানি শুরু করেছিলেন। সেই মুহূর্তে এই নিষেধাজ্ঞা আসে।

সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মাঝিডাঙা গ্রামের মো. শেখ সেলিম বলেন, লাভজনক হওয়ায় তিনি সাত-আট বছর ধরে কাঁকড়া চাষ করছেন।

“পাঁচ বিঘা জমিতে এ বছর অন্তত ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। এর অধিকাংশ টাকা ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেওয়া। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে আমরা খামার থেকে কাঁকড়া ধরে বাজারে বিক্রি করি। এ সময় বিদেশে কাঁকড়ার বিপুল চাহিদা থাকে। কাঁকড়া বিক্রি শুরু হতে না হতেই বন্ধ হয়ে গেছে।”

পূর্ণ বয়স্ক কাঁকড়া বেশি দিন খামারে রাখা যায় না।

সেলিম বলেন, তার খামারে প্রতিদিনই কাঁকড়া মারা যাচ্ছে। এতে তিনি আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি প্রচুর কাঁকড়া মরে খামারের পানি দূষিত হতে পারে।

ওই এলাকার স্বপন কুমার সাহা, মনোজিত মণ্ডলসহ অনেক চাষি জানিয়েছেনন, কাঁকড়া বেচতে না পারলে কাঁকড়ার খামারগুলো হুমকির মুখে পড়বে।