ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেই স্কুলের কূপ থেকে গ্যাস ওঠা থেমেছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই স্কুলের নলকূপ থেকে পানির সাথে বালি ও গ্যাস বের হওয়া থেমে গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2020, 05:25 PM
Updated : 7 Feb 2020, 05:25 PM

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শেরে বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ের নলকূপ থেকে পানির সাথে বালি ও গ্যাস উদগিরণ বন্ধ হয়েছে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কসবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বলেন, “সন্ধ্যা ৬টার দিকে গ্যাস উদগীরণ বন্ধ হয়েছে। এখন পরিস্থিতি একেবারে শান্ত। ”

গত বুধবার  সকাল ৯টায় সেখানে কূপ খননের সময় হঠাৎ বিকট শব্দে গ্যাস ও বালি উঠতে শুরু করে।

এদিকে, নতুন করে আর গ্যাস না বের হলে আগামী রোববার থেকে বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

কসবা উপজেলার শেরে বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে গত ২ ফেব্রুয়ারি নতুন গভীর নলকূপ বসানোর কাজ শুরু হয়।

সেখান থেকে গ্যাস বেরোনোর বিবরণ দিতে গিয়ে শেরে বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূইয়া বলেন, “গত বুধবার সকাল ৯টায় হঠাৎ প্রায় সাড়ে ৯০০ ফুট বোরিং করার পর বিকট শব্দে গ্যাস ও বালি উঠতে শুরু করে।

“তীব্র বেগে অবিরাম বালি ও গ্যাস বের হওয়ায় বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়।”

এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে আশপাশের বাড়ি-ঘরে চুলায় আগুন জ্বালাতে নিষেধ করা হয় বলেও জানান তিনি।

ঘটনার একদিন পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এর বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা বালি ও গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখেন বলে জানান তিনি।

এদিকে, শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের দুইটি গাছ ও পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীরের একাংশ ধসে পড়ে। শহীদ মিনার ও একাডেমিক ভবনও দেবে গেছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।

তিনি আশা করছেন-নতুন করে বালি ও গ্যাস না বের হলে সব পরিষ্কার করে রোববার বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু হবে।